বার্তা পরিবেশক(২০ জুলাই) :: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা এবং পৌর শাখা ও কলেজ শাখার নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক আলোচনা সভা করেছে জেলা ছাত্রদল নেতারা। এই দুই উপজেলার ৬টি সাংগঠনিক কমিটির সাথে সভা করেছে জেলা ছাত্রদল নেতাদের নীতিনির্ধারণী এই প্রতিনিধি দলটি।
এই সভায় আগামি এক মাসের মধ্যে ইউনিয়ন, পৌরসভা, ওয়ার্ড এবং কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই সব কমিটির সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা কমিটিতে জমা দেয়ার পরই উপজেলা শাখা কমিটির সম্মেলন আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে এই সভায়।
সভায় জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই সব কমিটি যদি সম্মেলন করতে না পারে তাহলে সেই সব কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার (২০ জুলাই) বিকালে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘দেশে যখন কথা বলার সুযোগ কেড়ে নেয়া হচ্ছে, সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ঘরে ঘুমাতে পারছেন না, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে তখনও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মাঠে থেকে তাদের ধারাবাহিক সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি নজির হয়েই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল মাঠে থাকলে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মাঠে থাকবে।’
শাহজাহান চৌধুরী মনে করেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই ছাত্রদলের প্রতিষ্টা করার পর ছাত্ররা এই সংগঠনের নেতৃত্বে রাজপথে ছিল। ভবিষ্যতে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও শহীদ জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই ছাত্রদল নেতা-কর্মীরাই দেশের সবধরণের সংকটে রাজপথে থাকবে।’
তিনি ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সাহসিকতার সাথে মাঠে থাকার ও ঈমানদারির সাথে দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান।
জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিন মনিরের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত এই সাংগঠনিক আলোচনা সভায় ছাত্রদল জেলা সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল বেশ কিছু প্রস্তাবণাও উপস্থাপন করেন। তিনি মনে করেন, বিএনপি ও বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতিষ্টাতা জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে নানা ভাবেই প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সরকার। আর সেই নতুন প্রজন্মের কাছে জিয়াউর রহমানের কীর্তিকে তুলে ধরতে ছাত্রদলকেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাশেদুল হক রাসেল জানান, জিয়াউর রহমানকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বছরের ছয়টি দিনকে বেছে নিতে হবে। এই দিনগুলো হলো শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্ম বার্ষিকী, শাহাদত বার্ষিকী, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস, ছাত্রদলের প্রতিষ্টা বার্ষিকী পহেলা জানুয়ারি, মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।
তার মতে, এই দিনগুলোতে ছাত্রদল জাতির কাছে জিয়াউর রহমানকে নানা আনুষ্টানিকতার মাধ্যমে নতুন করে পৌছে দেয়া হবে।
এই সভায় ছাত্রদলের উখিয়া উপজেলা, টেকনাফ উপজেলা, টেকনাফ পৌরসভা, টেকনাফ কলেজ, উখিয়া কলেজ ও রাজাপালং এমইউ ফাজিল মাদ্রাসা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা যোগ দেন। এই নেতারা তাদের শাখা সংগঠনের সামগ্রিক কর্মকান্ড সভায় উপস্থাপন করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার রোমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম শাহীন, সহ-সভাপতি আবদুল রউফ, যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন রবিন, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রিটন প্রমূখ।
পাঠকের মতামত